এমপস কে নিয়ে প্লানেট এ ফিরেই কোন এক অজানা কারনে দূরে চলে গেলো জিএম এবং ওরিন। শুরু হলো শামস আর ক্যাপ এর অনুসন্ধান। এক সময় ক্ষমতার চুড়ান্তে পৌছে গেলেন ওয়ারিওরস। কিন্তু এরপরে তারা হারিয়ে ফেললো পাওয়ারমেন্টাল ভারসাম্য। ধ্বংস হয়ে গেলো এমপস।
হ্যা, এভাবেই শুরু হলো প্লানেটবাসীর পতন। ঠিক সেই সময় শুরু হলো হামলা, হ্যা ট্রেজাস্কো বাহিনীর হামলা। আর বুঝি রক্ষা নাই। একের পর এক হামলা চলছেই। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সমস্ত প্লানেট। এই প্রথম এক হলো আরবিজেড। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা। বিরত্বের সাথে প্লানেট এর একদিকের যুদ্ধের নেতৃত্ব কাধে তুলে নিয়েছে তাহশিক। ওদিকে আরো দুইদিকে বীরবিক্রম যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ডাবল আর ব্রাদার্স এবং জেড জুনিয়রস। শুধু একটি মাত্র দিক অরক্ষিত। হঠাত মনে পরে গেলো ক্যাপস এর সেই “হারানো mpsz® গ্রহের সন্ধানে” মিশনটির শেষ অংশ, পাগল বুড়ো স্যার জোহান্স এর শেষ বাক্যগুলো…
নাহিদ, তোমার জন্য আবারো আমার সেই পুরাতন ম্যাসেজ, আমার সিগনালের অপেক্ষায় থেকো।
আর যে যাই করুক, তোমার অন্তত ভুল করা চলবেনা। চীরকাল সঠিক হয়েই থাকতে হবে। আজ থেকে আমার প্রিয় এই গ্রহ এমপস এর মালিক তুমি এবং তোমার সহকারী শামস।
কারন সমস্ত স্পেস জগতে তুমিই যে আমার একমাত্র #”বন্ধু”
মিলিয়ে গেলো হলোগ্রাফিক্স স্যার জোহান্স।
ওরিন আর জিএম এর চারটি চোখ ভিজে একাকার হয়ে গেলেও পলকহীন কঠিন একজোড়া চোখ নিয়ে মিলিয়ে যাওয়া হলোগ্রাফিক্স এর দিকে তাকিয়ে রইলেন স্যার মির্জা নাহিদ।
শেষ হলো মিশন: হারানো MPSZ® গ্রহের সন্ধানে
শুরু হলো নতুন মিশন,
মিশন প্লানেট সেভ (সে আরেক ইতিহাস)
হাই ভোল্ট একটি লাইট যেন জ্বলে উঠলো মাথার ভিতর। হ্যা সে বুঝে গেছেন বুড়োর সিগন্যাল। ছুটে গেলেন অরক্ষিত দিকটির উদ্দেশ্যে, সাথে সাহরিয়্যার।
হ্যা সত্যিই তাই, ধ্বংসস্তুপ এর শেষপ্রান্তে ফুটে উঠেছে উজ্জ্বল সাদা আলো। তারমাঝে ধীরেধীরে নামছে বিশাল চেইন আবৃত প্লানেট সদৃশ অদ্ভুত এক গ্লাক্সোশীপ। হ্যা, সত্যি এসে গেছেন পাগল বুড়ো বিজ্ঞানী স্যার জোহান্স।
(শেষ অংশ জানতে নজর রাখুন আগামী বইমেলা ২০১৭ এর … বুকস্টলে)